যাদের খামার রয়েছে তাদের ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন খামারি হয়ে থাকেন তাহলে এইপোস্টটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলে আমরা কি খাওয়ালে মুরগির ওজন বাড়ে এবং ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করব তাই ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
বর্তমান সময়ে ব্রয়লার মুরগি অনেকেই পালন করা শুরু করেছেন বিশেষ করে যারা ব্রয়লার মুরগির খামারি রয়েছে তাদের ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট অনুসারে মুরগি পালন করলে খুবই লাভবান হবেন তাই কি খাওয়ালে মুরগির ওজন বাড়ে এবং ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
আমাদের বাংলাদেশী অধিকাংশ আমিষের চাহিদা পূরণ করে এই ব্রয়লার মুরগির। আপনারা যারা ব্রয়লার মুরগি পালন করেন তাদের মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট ও খাবার তালিকা ওপর নজর রাখা জরুরী কেননা ব্রয়লার মুরগির যত ওজন বৃদ্ধি পাবে তত আপনি লাভবান হবেন তাই মুরগির ওজন বাড়াতে হলে আপনাকে প্রথমেই মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট এবং খাবার তালিকা উপর নজর দিতে হবে।
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট
আগের তুলনায় এখন বর্তমান সময়ে ব্রয়লার মুরগির পালনের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং অনেকেই লাভবান হচ্ছেন কিন্তু অনেকেই লসের মুখে পড়ছেন কারণ ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট ও খাবার তালিকা যদি আপনার সঠিক না থাকে।
আরো পড়ুনঃ পেনিসের মাথায় গুটি গুটি ও ফুসকুড়ি চিকিৎসা
তাহলে আপনার মুরগির ওজন বৃদ্ধি হবে না ফলে আপনার মুরগি বেশি দামে বিক্রি হবে না তাই মুরগির ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট অনুসারে মুরগি লালন পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুরগির ওজন বৃদ্ধির খাবারের চার্ট নিচে দেওয়া হল।
বয়স ( দিন ) | ওজন | দৈনিক ওজন বৃদ্ধি |
১ দিন | ৫৬ গ্রাম | ১৩ গ্রাম |
২ দিন | ৭২ গ্রাম | ১৭ গ্রাম |
৩ দিন | ৮৯ গ্রাম | ২১ গ্রাম |
৪ দিন | ১০৯ গ্রাম | ২৩ গ্রাম |
৫ দিন | ১৩১ গ্রাম | ২৭ গ্রাম |
৬ দিন | ১৫৭ গ্রাম | ৩১ গ্রাম |
৭ দিন | ১৮৫ গ্রাম | ৩৫ গ্রাম |
৮ দিন | ২১৫ গ্রাম | ৩৯ গ্রাম |
৯ দিন | ২৪৭ গ্রাম | ৪৪ গ্রাম |
১০ দিন | ২৮৩ গ্রাম | ৪৮ গ্রাম |
১১ দিন | ৩২১ গ্রাম | ৫৪ গ্রাম |
১২ দিন | ৩৬৪ গ্রাম | ৫৮ গ্রাম |
১৩ দিন | ৪১২ গ্রাম | ৬৪ গ্রাম |
১৪ দিন | ৪৬৫ গ্রাম | ৭৫ গ্রাম |
১৫ দিন | ৫২৪গ্রাম | ৮১ গ্রাম |
১৬ দিন | ৫৮৬ গ্রাম | ৮৭ গ্রাম |
১৭ দিন | ৬৫১ গ্রাম | ৯৩ গ্রাম |
১৮ দিন | ৭১৯ গ্রাম | ৯৮ গ্রাম |
১৯ দিন | ৭৯০ গ্রাম | ১০৫ গ্রাম |
২০ দিন | ৮৬৫ গ্রাম | ১১১ গ্রাম |
২১ দিন | ৯৪৩ গ্রাম | ১১৭ গ্রাম |
২২ দিন | ১,০২৩ গ্রাম | ১২৩ গ্রাম |
২৩ দিন | ১,১০৪ গ্রাম | ১৩০ গ্রাম |
২৪ দিন | ১,১৮৬ গ্রাম | ১৩৪ গ্রাম |
২৫ দিন | ১,২৬৯ গ্রাম | ১৪১ গ্রাম |
২৬ দিন | ১,৩৫৩ গ্রাম | ১৪৮ গ্রাম |
২৭ দিন | ১,৪৩৮ গ্রাম | ১৫২ গ্রাম |
২৮ দিন | ১,৫২৮ গ্রাম | ১৫৮ গ্রাম |
২৯ দিন | ১,৬১৩ গ্রাম | ১৬৩ গ্রাম |
৩০ দিন | ১,৭০৫ গ্রাম | ১৬৯ গ্রাম |
৩১ দিন | ১,৭৯৯ গ্রাম | ১৭৪ গ্রাম |
৩২ দিন | ১,৮৯৫ গ্রাম | ১৮০ গ্রাম |
কি খাওয়ালে মুরগির ওজন বাড়ে
দেশে মুরগির মাংস চাহিদা পূরণ করতে ব্রয়লার মুরগির কোন তুলনা হয় না। বর্তমান সময়ে এখন ব্রয়লার, সোনালী এবং দেশী মুরগি পালনের চাহিদা বেড়েই চলেছে তাই আপনি যদি একজন খামারি হয়ে থাকেন বা মুরগি ব্যবসায়িক হয়ে থাকেন তাহলে মুরগির ওজন যত বাড়ানো যাবে তত বেশি লাভজনক হবে।
আর এই মুরগির ওজন বৃদ্ধিতে মুরগির খাবারের ওপর নির্ভর করে তাই এই অংশে আমরা আপনাদের কি খাওয়ালে মুরগির ওজন বাড়ে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো। আমরা সবাই জানি যে মুরগির ওজন বৃদ্ধি হলে খাবারের পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণত দেশি মুরগিকে চাল, ভাত, গম, ধান ইত্যাদি খাওয়ানো হয় ফলে ওজন কম হয় কিন্তু মুরগি সুস্থ থাকে এবং রোগ আক্রান্ত কম হয়।
যেহেতু খামারিদের কম সময়ে ওজন বাড়ানা দরকার তাই বাজারে বিভিন্ন ধরনের মুরগির ফিড পাওয়া যায় তাই আপনার যদি ব্রয়লার অথবা সোনালী মুরগি হয়ে থাকে তাহলে সে অনুযায়ী ফিড খাওয়ালে মুরগির ওজন দ্রুত বাড়ে এর পাশাপাশি আপনি দেশি মুরগির খাবার অর্থাৎ চাল-ভাত, ধান, গম ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন যাতে মুরগি সুস্থ থাকে।
ব্রয়লার মুরগির খাবার তালিকা
আমাদের বাংলাদেশী আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য বয়লার মুরগি পালনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে অল্প সময়ে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ব্রয়লার মুরগির পালন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যাদের ব্রয়লার মুরগির খামার রয়েছে তাদের মুরগির ওজন এবং সাইজের ওপর ব্যবসার লাভ-লস নির্ভর করে
তাই একজন খামারির ব্রয়লার মুরগির খাবার তালিকা সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কিছু প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ খাবার রয়েছে যেগুলো ব্রয়লার মুরগিকে সঠিকভাবে প্রদান করা হয় তাহলে দ্রুত ওজন বাড়বে এবং সাইজও বাড়বে যেমন।
- চালের মিহিকুড়া
- সয়াবিন তেল
- গম বা গমের ভুসি
- ভুট্টা বাবু ভুট্টা ভাঙ্গা
- খুদ
- ধান বা চাল
- ডাল বা সরিষা
- শুটকি মাছের গুড়া
অপরের উল্লেখিত খাবারগুলির পাশাপাশি বাজারে কিনতে পাওয়া ফিড খাওয়াতে পারেন ফলে দ্রুত মুরগির ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে তবে প্রাকৃতিক খাবারগুলি যদি আপনার মুরগিকে খাওয়ান তবে সুস্থ থাকবে এবং বেশি ডিম দিবে।
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ
যারা নতুন ব্রয়লার মুরগির খামার করেছেন বা খামার করার কথা ভাবছেন তাদের তেমন একটা অভিজ্ঞতা থাকে না সে কারণে ব্যবসায় লাভজনক হয় না। মুরগির খামার ব্যবসায়ী লাভবান এর মূল একটি বিষয় যেটা হচ্ছে মুরগির ওজন বৃদ্ধি কারণ আমরা সবাই জানি মুরগির যত ওজন বাড়বে তত লাভজনক বেশি হবেন।
আরো পড়ুনঃ চাপা ভাঙ্গা ঠিক করার ট্যাবলেট
তাই আপনাদের সাথে ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির সেরা ৫টি ঔষধ এর নাম আপনাদেরকে জানাবো যেগুলি পশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ালে মুরগির ওজন বৃদ্ধি পাবে। আপনাদের সুবিধার্থে ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির ওষুধের নামগুলি নিচে দেওয়া হল।
- পি বুস্টার
- জি-প্রো মিন লিকুইড
- প্রোফিট প্লাস
- এমাইনো ভিট প্লাস ভেট
- ক্যালগো পস
ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়
অনেক খামারীরাই ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় খুঁজে দেখেন কারণ যত তাড়াতাড়ি মুরগির ওজন বাড়বে তত লাভবান হওয়া যায়। তো আড়াই কেজি মুরগির কিভাবে করবেন কথাটি শোনার পরে হয়তো আপনারা বলবেন যে আড়াই কেজি মুরগির ওজন এটাতো সিম্পল ভাবেই হয়ে থাকে স্বাভাবিকভাবেই কেননা ৪০ থেকে ৪৫ দিন মুরগি লালন পালন করলে আড়াই কেজি মুরগির ওজন হয়ে থাকে।
কিন্তু আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে ৩২ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যেই আড়াই কেজি মুরগির ওজন করবেন এবং খুব সহজভাবেই। আজকের মূলত আলোচনা করব কিভাবে আপনি ফার্মে আড়াই কেজি এভারেজ মুরগির ওজন করবেন তাও আবার মাত্র ৩২ থেকে ৩৫ দিনে। তো চলুন ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- সর্বপ্রথম মুরগির ওজন বাড়ানোর জন্য কয়েকটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনাকে বাচ্চা, বোডিং, লিটার ব্যবস্থা এবং মেডিসিন এই কয়েকটি বিষয়ের উপর আপনি কি কখনো কনফ্রোমাইজ করা যাবে না অর্থাৎ কখনোই নরমাল মেডিসিন বা লিটার খারাপ রাখা যাবে না বা বোর্ডিং ব্যবস্থা খারাপ করা যাবে না।
- এবং বাচ্চা কখনোই বিগ্রেটেড নেওয়া যাবে না। সুতরাং এই কয়টি ব্যবস্থা যদি আপনারা সুন্দর এবং ভালোভাবে করতে পারেন অবস্থায় আপনার মুরগির ওজন অল্পদিনের মধ্যেই ভালো বেড়ে যাবে।
- এবং খাদ্যের যে ব্যাপারটা এটা ভাল মানে নিবেন। ভালো মানের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অল্প দিনের মধ্যেই আপনার মুরগির ওজন হুরহুর করে বাড়তে থাকবে।
- এবং সঠিক গাইড লাইন অবশ্যই নিতে হবে অবশ্যই নিতে হবে। আপনি যখন ফার্মে বাচ্চা উঠাবেন অবশ্যই মনে রাখবেন একটা ফার্ম থেকে একবার মুরগি তোলার পর দ্বিতীয়বার যখন তুলবেন অবশ্যই মাঝখানে গ্যাপ রাখবেন মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ দিনের মতো এছাড়াও যদি বেশি রাখতে পারেন সে ক্ষেত্রে খুবই ভালো।
- অবশ্যই আপনি ফার্মটি মুরগি তোলার পূর্বে জীবাণু মুক্ত করবেন জীবাণু মুক্ত অবশ্যই করতে হবে।
ব্রয়লার মুরগির ওজন না আসার কারন
মুরগির ওজন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ একজন খামারি সফলতা লাভ করতে হলে একজন খামারি লাভবান হতে হলে অবশ্যই তার মুরগির ওজন সঠিক আসতে হবে। অনেক সময় মুরগি পর্যাপ্ত খাবার খায় আমাদের যে রুটিন অনুযায়ী খাবার খাওয়ানোর কথা খাবার শেষ হয়ে যায় কিন্তু মুরগির ওজন ভালো আসে না আমি বলব মুরগির ভালো ওজন না আসার জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই।
কারণ আমরা প্রতিনিয়ত অনেকগুলো ভুল করে থাকি এই ভুলগুলো করার জন্য আমাদের মুরগির সঠিক ওজন আসে না। আজকে তেমনি ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যে ভুলগুলো আমরা করে থাকি এই ছয়টি ভুলের জন্য বয়লার মুরগির ভালোভাবে আসে না। চলুন তাহলে বেশি কথা না বলে ব্রয়লার মুরগির ওজন না আসার কারন গুলো কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
১. বাচ্চা ও খাবারঃ আমরা প্রথমে যে ভুলটা করে থাকি অনেক খামারি বাচ্চা ক্রয় করে ভালো কিন্তু খাবার সঠিক প্রয়োগ করে না মানে সঠিক মানের ভাল খাদ্য প্রয়োগ করে না। আবার অনেক খামারি খাবার ক্রয় করে ভালো কিন্তু সঠিক বাচ্চা ভালো মানের বাচ্চা ক্রয় করে না। আপনার মুরগির ভালো ওজন আনার জন্য খাবার আর বাচ্চা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভালো খাবার প্রয়োগ করবেন ভালো বাচ্চা ক্রয় করবেন তাহলে আপনার মুরগির ওজন ১০০% আসবে। সামান্য অল্প কিছু টাকা বাঁচাতে আমরা ভালো খাবার ক্রয় করি না এবং ভালো বাচ্চা ক্রয় করি না পরবর্তীতে আমাদের মুরগির সঠিক ওজন আসে না আর এটাই ব্রয়লার মুরগির ওজন না আসার কারন তাই টাকা না বাঁচিয়ে ভালো খাবার ও বাচ্চা ক্রয় করবেন এবং খাবারটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন।
২. খাবার ও পানি দেওয়ার নিয়মঃ আপনি ভালো বাচ্চাওভালো খাবার ক্রয় করেছেন তবুও আপনার মুরগির সঠিক ওজন আসছে না জানেন কেন? কারণ আপনি সঠিকভাবে খাবার আর পানি দিতে জানেন না। অনেক খামারীরাই করে কি যে প্রতিদিন একবার কিংবা ২ বার পানি দেয় কিন্তু ৩ বার পানি দেওয়ার চেষ্টা করেনা এতে কিন্তু মুরগির অনেক সমস্যা হয় সঠিকভাবে ওজন আসে না
আপনি মুরগির সঠিক ওজন আনতে হলে মুরগিকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ বার পানি দিতে হবেই। যারা আর্টিকেলটি পড়ছেন তাদের কাছে প্রশ্ন আপনাকে যদি পুরাতন পানি বাঁশি পানি আর নোংরা পানি দেওয়া হয় আপনি কি সে পানি খাবেন মন হয়তো না খাবেন না তেমনি মুরগিও নোংরা বাসি পানি খেতে পছন্দ করে না এতে পানি ঠিকমতো খায় না ফলে ওজন আসে না।
এবার আসা যাক খাবার নিয়ে আপনি একটু কষ্ট করলে আপনার মুরগির ভালো ওজন আসবে। তাই খাবার কমিয়ে দিতে হবে সকালবেলায় যেন সকালের খাবার দুপুর ২ টা কিংবা ৩ টায় শেষ হয়ে যায়। বিকেলে আবার খাবার দিবেন সেই খাবার যেন রাত ১০ টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় আবার রাত ১০ টায় খাবার দেবেন সেটা যেন সকালের মধ্যে শেষ হয়ে যায় এভাবে মুরগিকে সঠিকভাবে খাবার প্রয়োগ করতে হবে।
৩. লিটার বা ভুসিঃ লিটারকে বলা হয় মুরগির প্রাণ। মুরগির প্রাণ বাঁচাতে অবশ্যই পরিষ্কার লিটার রাখতে হবে লিটার যেন এমনিয়া গ্যাস না হয় সেজন্য নাড়াচাড়া করতে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে ২বার অনেকে কি করে যখন মুরগীর বয়স ২০,২২,২৫ দিন হয়ে যায় তখন কিন্তু অনেকেরই লিটার খারাপ হয়ে যায় তখন আর লিটার চেঞ্জ করে না।
ভাবে যে কিছুদিন পর তো মুরগী বিক্রি করে দিব এতে কিন্তু আপনার মুরগির ওজন কমছে কারণ লিটারের ওপর নির্ভর করে মুরগির ওজন তাই লিটার যদি খারাপ হয় আপনার লিটার চেঞ্জ করতে হবে বা যদি চেঞ্জ না করা সম্ভব হয় তাহলে ওই খারাপ লিটার গ্রুপ কিছু কমিয়ে ভালো লিটার দিতে হবে।
৪. ওষুধঃ বন্ধুগণ আমরা ওষুধ প্রয়োগ করি কিন্তু ভালো কোম্পানির ওষুধ প্রয়োগ করি না কিছু টাকা বাঁচাতে উল্টা পাল্টা সস্তা কোম্পানি সস্তা ওষুধ ব্যবহার করি। সব সময় চেষ্টা করবেন আপনি ভালো ওষুধ প্রয়োগ করতে কারণ এই ওষুধের উপর নির্ভর করে আপনার মুরগির ওজন।
৫. মুরগির জায়গাঃ আচ্ছা বন্ধুরা ধরুন একটা রুমের মধ্যে তিনজন থাকতে পারবে এখন যদি সেই রুমে এসে আপনি নয় জনকে ঢুকান তাহলে কি ওই রুমে ঠিকমতো মানুষ ঘুমাতে পারবে ঠিকমতো বসবাস করতে পারবে মনে হয়তো না। যদিও থাকে তারা কিন্তু নানান সমস্যার সম্মুখীন হবে তারা কিন্তু অনেক অসুস্থতা বা অনেক সমস্যা দিয়ে দিন পার করবে।
তাই সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার যে খামার যে ঘর অনুযায়ী মুরগি ওঠানো জন্য এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা হয়তো জানেন একটা স্কয়ার ফুটে একটা মুরগি রাখার জায়গা। ওই স্কয়ার ফুটটা হবে বর্গ স্কয়ার ফুট আর সবচেয়ে ভালো হয় ১০০০ বর্গ স্কয়ার ফুট হয় তাহলে আপনি ৯০০ মুরগি ওঠাবেন এতে করে আপনার মুরগির অনেক ভালো ওজন আসবে।
৬. মুরগি নাড়া ছাড়াঃ আমরা অনেকে মুরগি পালন করি মুরগিকে খাবার দেই পানি দেই কিন্তু মুরগী নাড়াচাড়া করি না অবশ্যই মুরগি নাড়াচাড়া করতে হবে। আপনার মুরগির সঠিক ওজন আনতে হলে আপনি যখনই খামারে ঢুকবেন খাবার পানি দেওয়ার পর যেসব মুরগি বসে আছে সেইসব মুরগিকে বসা থেকে দাঁড়িয়ে দিতে হবে তাহলে ওই মুরগিগুলো গিয়ে খাবার ও পানি খাবে।
যদি মুরগি খাবার আর পানি খায় তাহলে তো অবশ্যই ওজন আসবেই তাই অবসর সময় আপনি সময় পেলে খামারে গিয়ে বসা মুরগি গুলোকে দাঁড়িয়ে ছাড়িয়ে দার করিয়ে দিতে হবে যেন তারা খাবার খায়।তো বন্ধুরা আশা করি ব্রয়লার মুরগির ওজন না আসার কারন ৬টি জানতে পেরেছেন এগুলো যদি আপনি মানতে পারেন তাহলে আপনার মুরগির ভালো ওজন আসবে।
ব্রয়লার মুরগির ওজন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ওজন কত?
উত্তরঃ বয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ওজন ২.৮ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ মুরগিকে রসুন খাওয়ালে কি হয়?
উত্তরঃ মুরগিকে রসুন খাওয়ালে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে মুরগির অসুখ খুব কম হয় এবং মুরগির হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও মুরগির ডিমের গুণগত মান ভালো হয়।
প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগি ৪০ দিনে কতটুকু খায়?
উত্তরঃ ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা ২১ দিনে এক কেজি খায় এবং ৩০ দিনের দিন ২ কেজি খাই এবং ৪০ দিনের দিন প্রতিটি মুরগি অতিরিক্ত আরও ১ কেজি খায় অর্থাৎ মোট ৪ কেজি খায়।
প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগি কত দিনে কত খাবার খায়?
উত্তরঃ প্রতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১ পাউন্ড খাবার খাই অর্থাৎ ২০০টি মুরগি হলে চার সপ্তাহে মোট ১৬০০ পাউন্ড ফিড খাবে।
প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগি কত দিনে বিক্রির উপযুক্ত হয়?
উত্তরঃ আপনার মুরগি যখন ৩০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম অথবা ১ কেজি ২ কেজি হয়ে গেলেও বিক্রি করে দিতে পারবেন তার কোন নির্ধারিত সময় নেই।
শেষ কথা
আজকে আমরা এই আর্টিকালে আপনাদের সাথে ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট এবং ব্রয়লার মুরগির খাবার তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এছাড়াও কি খাওয়ালে মুরগির ওজন বাড়ে এবং ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির সেরা ৫টি ঔষধ এর নাম আপনাদের জানিয়েছি যেই ওষুধগুলি মুরগিকে খাওয়ালে দ্রুত ওজন বাড়বে
তবে এই ওষুধ গুলি খাওয়ানোর আগে অবশ্যই একজন পশুর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন। আশা করি আপনি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
আর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং বিভিন্ন রকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন ধন্যবাদ।