আজকের এই আর্টিকেলে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত এবং কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আলোচনা করব। কুয়েতে একটি ছোট্ট আরব দেশ যা ৯টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশের মানুষ কুয়েতে যেতে অনেকেই আগ্রহী প্রকাশ করে আপনিও যদি তাদের ভিতরে একজন হয়ে থাকেন তাহলে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত এবং কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানা দরকার।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরই অনেক মানুষ কাজের জন্য কুয়েতে এ যাই। অনেকে আবার যাওয়ার কথা ভাবছেন কিন্তু অনেকে আছেন যারা কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত এবং কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই আর্টিকেলে আমরা কুয়েতের বেতন এবং কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভূমিকা
কুয়েত হচ্ছে মধ্যপ্রাচের একটি ধনী সম্পূর্ণ দেশ। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষই বৈধ কিংবা অবৈধ পথে অথবা রিকয়েটিং এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েতে পাড়ি জমাচ্ছে এর মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশ কাজের অবস্থা একদম খারাপ এবং চাকরি নেই বলে চলে সেইজন্য জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য অনেকেই দেশ ত্যাগ করছে।
বর্তমানে যারা কুয়েতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন কিংবা কুয়েতের ভিসা প্রসেসিং করতে দিবেন ভাবছেন কিন্তু কুয়েতে গিয়ে কোন কাজ করবেন এবং কোন কাজের কেমন বেতন ভেবে পাচ্ছেন না তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত সেটাই জানাতে চলেছি তাই এই সম্পর্কে জানতে হলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েতে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। রেস্তোরাঁ, হোটেল, নির্মাণ, বৈদ্যুতিক, ড্রাইভিং এবং ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি কাজগুলোর কুয়েতে অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও যদি কেউ কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় যান তাহলে ভালো কাজ পাবেন যেমন কোম্পানিতে ক্লিনার, সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে বিভিন্ন কাজ রয়েছে যেগুলোর বেতন অনেক বেশি এবং পরিশ্রম কম।
এছাড়াও রেস্টুরেন্ট, হোটেল এবং ড্রাইভিং এসব কাজগুলোতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং এই সকল কাজ করে একজন ব্যক্তি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারবে।
মূল কথা হচ্ছে কাজের চাহিদা বিবেচনা করার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের দক্ষতা দেখতে হবে, কোন কাজে আপনি বেশি দক্ষ, কোন কাজে কম দক্ষ সেটা আগে যাচাই করতে হবে। আপনি যে কাজে যত দক্ষ বেশি হবেন তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি সে কাজ গুলির তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
- ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ
- হোটেল
- রেস্টুরেন্টে
- নির্মাণ কাজ
- ড্রাইভিং
- ঢালাই কাজ
- ফ্যাক্টরির কাজ
- ক্লিনার
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরই পারিজমায় বিভিন্ন দেশে তারমধ্যে কুয়েত একটি। কুয়েত সরকার একটি নতুন আইন করেছে কুয়েতে যদি কোন বৈদেশিক শ্রমিক কাজ করে তাহলে তার সর্বনিম্ন বেতন হবে ৬০ দিনার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ২১ হাজার টাকা। আর যদি আপনার কাজের উপর ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনার বেতন এর চাইতেও বেশি হবে।
যে যত বেশি কাজ করবে তার বেতন তত বেশি হবে এবং কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। আপনার যদি কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনি কুয়েতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে কোন একটি কাজে ভালোভাবে ট্রেনিং নিয়ে দক্ষ হয়ে কুয়েতে যান তাহলে আপনি অনায়াসেই ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
কুয়েত বেতন কত – কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কুয়েত বেতন কত। কুয়েতের শ্রমিকদের কাজের উপর মূলত নির্ভর করে তাদের বেতন তারা কোন সেক্টরে কাজ করছে সেটার উপর নির্ভর করে কেননা প্রতিটি কাজেরই ভিন্ন ভিন্ন বেতন দেয়া হয়ে থাকে। কুয়েত আপনার যদি কোন কাজে অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনার বেতন হবে ৭০ থেকে ১০০ দিনার পর্যন্ত আর যদি আপনার কাজের প্রতি ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনার বেতন হবে ২৫০ থেকে ৪০০ দিনার পর্যন্ত হবে।
আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিসার আজকের খবর বিস্তারিত
এখন কথা হচ্ছে যারা কুয়েতে আসার কথা ভাবছেন তারা অবশ্যই কাজ শিখে আসবেন। কুয়েতে আসার আগে যেসব কাজ শিখে এলে আপনি বেশি বেতন পাবেন সেসব কাজের তালিকা নিচে দেওয়া হল
- মোবাইল সার্ভিসিং
- ইলেকট্রিক
- কার সার্ভিসিং
- এসি সার্ভিসিং
- ড্রাইভিং
- রেস্টুরেন্ট
ওপরের উল্লেখিত কাজগুলোর ওপর যদি আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে অথবা আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই কাজগুলি শিখে কুয়েতে আসেন তাহলে আপনার সব মিলিয়ে মাসিক বেতন হবে ২৫০ থেকে ৩০০ দিনার পর্যন্ত। তবে আর একটা কথা বললেই নয় কুয়েত খুবই গরম দেশ তাই কাজ করতে হলে বাইরে গরমের ভিতর করতে হয় তাই যারা কুয়েতে আসতে চাচ্ছেন তারা ভেবেচিন্তে আসবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েত কাজের বেতন কত ও কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত সম্পর্কে ওপরে আগে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা জানবো যে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত সে বিষয়ে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।আপনি যদি কুয়েত কোম্পানিতে নতুন অবস্থায় কাজ শুরু করেন তাহলে বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা
এবং কুয়েতের একজন কর্মীর বেতন ৪০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুমানিক। তবে এইসব কোম্পানিতে কাজের উপর আপনার বেতন নির্ভর করে এর পাশাপাশি আপনার কেমন দক্ষতা আছে তার ওপর ভিত্তি করে বেতন বৃদ্ধি করা হয়।
সেজন্য আপনি যদি প্রথমেই কুয়েতের কোন কোম্পানিতে প্রথম কাজ শুরু করেন তাহলে আপনার বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা মতো তারপর আপনি যদি সেখানে ভালো কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে পারেন তাহলে আপনার বেতন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার্থে কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানির বেতনের তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
কুয়েত কোম্পানি নাম | বেতন |
কেওসি কোম্পানি | ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
ডিসাইড কোম্পানি | ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
ইউ এফ এম কোম্পানি | ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
আল আব্রাক কোম্পানি | ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
আল ফয়সাল | ৪৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
আব্দুল হামিদ কোম্পানি | ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
ডায়ানা কোম্পানি | ৩৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
আল জাজিরা কোম্পানি | ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
ন্যাশনাল কোম্পানি | ৪০,০০০ থেকে ৭০,০০০ |
মাজেদ আল আহলে কোম্পানি | ২৮,০০০ থেকে ৬০,০০০ |
কুয়েতে কাজ করার জন্য অনেক কোম্পানি আছে। তবে আজ আপনাদের সাথে এই ১০টি কুয়েত কোম্পানির বেতন কত জানালাম।
কুয়েত কোন ভিসা ভালো
যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে আসতে চাচ্ছেন তাদের কুয়েতে কোন ভিসা ভালো সেটা জেনে রাখা উচিত। বাংলাদেশের বর্তমানে কুয়েতে যাওয়ার জন্য দুইটি ভিসা চালু রয়েছে প্রথমটি হচ্ছে আকুদ ভিসা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আহলী ভিসা।
১। আকুদ ভিসাঃ এই বিষয়ে যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে আসেন তাহলে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন তবে মেন যেটা অসুবিধা সেটি হচ্ছে আপনি যে কোম্পানিতে আকুদ ভিসায় এসেছেন সেই কোম্পানিতে আপনি সঠিক বেতনটাই পাবেন।
তবে ভবিষ্যতে যদি আপনি মনে করেন আপনি অন্য কোম্পানিতে কাজ করবেন কিংবা ট্রান্সফার হবেন তাহলে হতে পারবেন না এই ভিসার এটাই মেন অসুবিধা। আর যদি কোম্পানি চাই যে আপনি অন্য কোম্পানিতে যেতে ইচ্ছুক তাহলে আপনি যেতে পারবেন তাছাড়া আপনি একাই অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফার হতে পারবেন না।
২। আহলী ভিসাঃ আপনারা যারা ভাবছেন কুয়েতে গিয়ে দুই তিন বছর একটি কোম্পানিতে কাজ করে পরবর্তীতে ভবিষ্যতে অন্য একটি কোম্পানিতে কাজ করবেন তাহলে আপনার জন্য আহলী ভিসা ভালো হবে। এই আহলী ভিসায় আসলে আপনি খুব সহজেই অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফার হতে পারবেন যখন তখন এবং ঠিকমতো বেতনও পাবেন।
তো আপনারা যারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তারা আহলী ভিসায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। আর যদি আপনারা আকুদ ভিসায় যান তাহলেও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন তবে ভবিষ্যতে যদি আপনি একটি কোম্পানি ছেড়ে আরেকটি কোম্পানিতে জয়েন হতে চান
তাহলে যেই কোম্পানিতে বর্তমানে কাজ করছেন সেটি অনুমতি দিলেন তো অন্য কোম্পানিতে যেতে পারবেন তাছাড়া অন্য কোম্পানিতে কাজ করতে যেতে পারবেন না এটাই মেইন অসুবিধা এই আকুদ ভিসার ক্ষেত্রে।
কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত
উপরে আমরা কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত সে সম্পর্কে আলোচনা করলাম এখন কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত সে বিষয়ে কথা বলব। কুয়েতে যেসব বাংলাদেশী ভাইয়েরা কাজ করেন তারা প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বেতন পায় তাছাড়া ক্লিনার কাজে নির্দিষ্ট ডিউটির সময় রয়েছে এর পাশাপাশি আপনি চাইলে ওভারটাইমে অন্য কাজও করতে পারেন।
কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত
আপনারা যারা কুয়েতে হোটেল ভিসাতে আসতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। কারণ কোন দেশে যাওয়ার আগে সে দেশের কাজ ও বেতন সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন প্রথম প্রথম কুয়েতে হোটেলে কাজে আসবেন তখন আপনি বেতন পাবেন ১০০ থেকে ২০০ কুয়তি দিনার পর্যন্ত যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন: Largo cream এর উপকারিতা
আর আপনার যদি বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি কুয়েতে এসে ভালো পদে হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে কাজ করলে ২৫০ থেকে ৪০০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। বেতন মূলত কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। যারা কুয়েতে হোটেলে রান্নাবান্নার কাজে সাহায্য করে তাদের বেতন ১০০ থেকে ২৫০ দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আর যারা কুয়েত হোটেলে শেফ পদে চাকরি করে তাদের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে যেমন প্রতিমাসে ৪০০ থেকে ৮০০ কুয়েতি দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করতে গেলে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত
কুয়েতে কাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে কাজের চাহিদা সেটি হচ্ছে ইলেকট্রিক কাজের। আপনি যদি কারেন্টের কাজ জানেন অথবা বাংলাদেশ থেকে কারেন্টের কাজ শিখে কুয়েতে আসেন তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন যা অন্যান্য কাজ শিখে আসলে এত টাকা বেতন পাবেন না। আপনি যদি শ্রমিক ভিসা কিংবা অন্যান্য ভিসায়ও আসেন তাহলেও ইলেকট্রিক কাজ করতে পারবেন অসুবিধা নেই।
এখন মূল কথা হচ্ছে যারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ইলেকট্রিক কাজ করার জন্য আসতে চাচ্ছেন তারা কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। তাদেরকে বলবো সঠিক বেতন কত সেটা বলা বেশ মুশকিল কারণ কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।
কুয়েতে ইলেকট্রিক কাজ করলে অনুমানিক আপনি ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি আপনি কোন বিল্ডিং এর কন্টাক্ট পান কিংবা আপনি পুরাতন হয়ে যাওয়ার পর অনেক জনের সাথে যদি সাক্ষাত থাকে তাহলে আপনি আরো বেশি টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের চাহিদা ব্যাপক এবং এর বেতন কথা বলতে গেলে ভালই। যারা কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় আসতে চাচ্ছেন তাদের বেতন হবে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে আপনাকে একজন ভালো দক্ষ ড্রাইভার হতে হবে এবং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক।
তাই যারা কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের জন্য আসতে চাচ্ছেন তারা বাংলাদেশেই ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলুন। কেননা আপনি যদি ভিসা করার আগেই ড্রাইভিং শিখে যান এবং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে রেডি হয়ে যায় তাহলে কুয়েতে গিয়ে কাজ পেতে অনেক সুবিধা হবে এবং খুব দ্রুত কাজ পেয়ে যাবেন।
কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত
যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কাজ করার জন্য যেতে চান তারা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত। কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কাজের ওপর নির্ভর করে সেখানে প্রতিটি কাজের বেতন ভিন্নরকম হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানি নাম
অনুমানিক কুয়েতে একজন শ্রমিকের বেতন ১২০ থেকে ১৬০ দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে থাকা-খাওয়া শ্রমিককে বহন করতে হয় সেজন্য মাস শেষে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা থাকে।
কুয়েতের মুদ্রার নাম ও রাজধানীর নাম কি
কুয়েতের মুদ্রার নাম কি এবং কুয়েতের রাজধানীর নাম কি তা অনেকেই জানে না। কুয়েতের রাজধানীর নাম হল কুয়েত সিটি যা বৃহত্তম একটি শহর। এবার জেনে নেওয়া যাক কুয়েতের মুদ্রার নাম কি? আমাদের দেশের মুদ্রাকে টাকা বলা হয়। একইভাবে, কুয়েতের মুদ্রার নাম হল ডিনার।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত এবং কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এতক্ষণে আপনারা বুঝে গেছেন এর পাশাপাশি এই আর্টিকালে আমরা আপনাদের জানিয়েছি কয়েকটি কোম্পানির বেতন সম্পর্কে আশা করি আপনার এগুলো উপকারে আসবে। মেইন কথা হচ্ছে কুয়েতে বর্তমানে যেসব কাজগুলো চাহিদা বেশি সে কাজগুলো বাংলাদেশের শিক্ষা যদি আপনি কুয়েতে যান তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর এমনিতে কুয়েতের টাকার মান অনেকটাই বেশি বাংলাদেশে তুলনায় আর সেই জন্যই প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কুয়েতে পাড়ি জমাচ্ছে। আরেকটি কথা আপনারা যারা বর্তমানে কুয়েতে আকুদ ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তারা আকুদ ভিসায় না গিয়ে আহলী ভিসায় জান। কেননা আহলী ভিসায় অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং আপনি চাইলে অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফার হতে পারবেন ভবিষ্যতে।
আপনার যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে অন্যরাও জানতে পারে। আপনার যদি কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন এবং কাজ সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম আমি আল্লাহর রহমতে ড্রাইবিং কাজ পারি এবং কম্পিউটার কাজ জানি এই কাজে কেমন বেতন হতে পারে